বর্তমান সময়ে বন্ধ্যাত্ব বা ইনফাটালিটি একটি জটিল রূপ ধারণ করেছে।। আজকাল প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এ ধরনের দ একটা সমস্যা দেখা যাচ্ছে।।আর এই সমস্যাটা শুধু ব্যক্তিগত না সামাজিক ও পারিবারিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছে।। সমাজ এই বন্ধ্যাত্বকে অভিশাপ হিসেবে বিবেচিত করে।।তবে এই সমস্যা ও যে রোগের কারণে হতে পারে সেদিকে আমরা সেই ভাবে খেয়াল করি না।। চলুন জেনে নেই সন্তান না হওয়া বা গর্ভধারণ না হওয়া বা বন্ধত্বের কি কি শারীরিক কারণ হতে পারে।।
১. হরমোনাল সমস্যাঃ
অনিয়মিত হরমোনাল ভারসাম্য ডিম্বাণু নির্গমনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা গর্ভধারণের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) এবং হাইপোথাইরয়েডিজম গর্ভধারণের পথে অন্যতম বড় বাধা হতে পারে।
২. ডিম্বাণুর সমস্যাঃ
ডিম্বাণুর গুণগত মান কমে যাওয়া বা ডিম্বাণু সঠিকভাবে উৎপাদন না হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর গুণগত মান ও সংখ্যা কমতে থাকে, যা গর্ভধারণকে প্রভাবিত করতে পারে।
৩. শরীরের ওজনঃ
অতিরিক্ত ওজন বা খুব কম ওজন উভয়ই গর্ভধারণের জন্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, এবং কম ওজন পুষ্টির ঘাটতি তৈরি করে ডিম্বাণু উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
৪. ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যাঃ
ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিলন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। Pelvic Inflammatory Disease (PID), যৌনবাহিত রোগ (যেমন: ক্ল্যামাইডিয়া বা গনোরিয়া) থেকে সংক্রমণ হলে টিউবের সমস্যা হতে পারে।
৫. ইউটেরাস বা জরায়ুর সমস্যাঃ
জরায়ুতে ফাইব্রয়েড, পলিপ, বা ইউটেরিন ডিসপ্লেসমেন্ট গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।এন্ডোমেট্রিওসিস একটি গুরুতর সমস্যা যা জরায়ুর বাইরে টিস্যু বৃদ্ধির কারণে গর্ভধারণকে প্রভাবিত করতে পারে।
৬. অস্বাভাবিক মাসিক চক্রঃ
অনিয়মিত মাসিক চক্র ডিম্বাণুর নির্গমন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
৭. মানসিক চাপ ও উদ্বেগঃ
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ডিম্বাণুর নিঃসরণে প্রভাব ফেলতে পারে, যা গর্ভধারণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
৮. বয়সঃ
বয়স বাড়ার সাথে সাথে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে, কারণ ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং গুণগত মান হ্রাস পায়।বিশেষজ্ঞদের মতে, 20 থেকে 35 বছর বয়স হল সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়স, কারণ 35 বছর বা তার বেশি বয়সের মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।তবে ৩০ এর আগে বাচ্চা নেয়া বেশি নিরাপদ।।
৯. পুরুষের প্রজনন সমস্যার কারণেঃ
পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকা বা শুক্রাণুর গুণগত মান কম হলে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।শুক্রাণুর গতি বা মুভমেন্ট কম থাকা এবং অস্বাভাবিক আকারের শুক্রাণু গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
১০. জীবনধারাগত ত্রুটিঃ
ধূমপান, মদ্যপান, এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ প্রজনন ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।দীর্ঘমেয়াদি ড্রাগের ব্যবহার এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
১১. জেনেটিক কারণ
কিছু জেনেটিক বা বংশগত সমস্যার কারণে গর্ভধারণে বাধা হতে পারে, যা পারিবারিক ইতিহাস থেকে প্রভাবিত হতে পারে।।
এই কারণগুলো ছাড়াও আরও কিছু শারীরিক বা পরিবেশগত কারণ গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে এই বাধাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থা।তাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
ফ্রি পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন
ডাঃ মোঃ ফেরদৌস, BHMS (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কোর্স), MPH (প্রজনন ও শিশু স্বাস্থ্য),
লেকচারারঃ নাঙ্গলকোট হাজী বাদশা আমেনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
আমাদের চেম্বারের ঠিকানাঃ
ওয়ান_হোমিওপ্যাথি
রেডিও কলোনি, মসজিদে ইলার পশ্চিম পার্শ্বে, খ্রিস্টান কলেজের বিপরীতে, জালেশ্বর, সাভার, ঢাকা।
মোবাইলঃ 📞 01681519799 (Whatsapp)
ওয়েব: www.drmdferdous.com
Messenger: https://m.me//Dr.md.ferdous
আজই আপনার ফ্রি সেশনটি বুকিং করুন। ধন্যবাদ!
সুস্থ থাকুন ও সুন্দর জীবন উপভোগ করুন।।