নাম: ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান
জন্ম: ১০ই এপ্রিল, ১৭৫৫ – মেইসেন, জার্মানি
মৃত্যু: ২রা জুলাই, ১৮৪৩ – প্যারিস, ফ্রান্স
পরিচিতি: হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তক


শিক্ষাজীবন ও প্রারম্ভিক জীবন:

স্যামুয়েল হ্যানিম্যান জন্মগ্রহণ করেন জার্মানির স্যাক্সনি প্রদেশের মেইসেন শহরে। তিনি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন এবং ভাষাশিক্ষায় পারদর্শী ছিলেন (তিনি ৮টি ভাষায় দক্ষ ছিলেন)। তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন ১৭৭৯ সালে জার্মানির এর্ল্যাঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।


হোমিওপ্যাথি আবিষ্কার:

হ্যানিম্যান প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি যখন সিনকোনা বাক (Cinchona Bark) নিয়ে পরীক্ষা করছিলেন, তখন নিজের উপর এটি প্রয়োগ করে ম্যালেরিয়ার মতো উপসর্গ লক্ষ্য করেন। এখান থেকেই তাঁর “Like cures like” বা “সমের দ্বারা সমের চিকিৎসা” নীতির ধারণা জন্ম নেয়।

এটি ছিল হোমিওপ্যাথির মূল ভিত্তি — যে পদার্থ কোন সুস্থ ব্যক্তির দেহে নির্দিষ্ট উপসর্গ সৃষ্টি করে, সেই পদার্থই উপযুক্ত মাত্রায় প্রয়োগ করলে অসুস্থ ব্যক্তির সেই উপসর্গ দূর করতে পারে।


প্রধান গ্রন্থ:

হ্যানিম্যান লিখেছিলেন তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “Organon of the Medical Art”, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮১০ সালে। এটি হোমিওপ্যাথির মূল দর্শনের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বিবেচিত হয়।


ব্যক্তিগত জীবন:

তিনি দুইবার বিবাহ করেন এবং জীবনের শেষ সময়ে ফ্রান্সে বসবাস করতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা পেশায় সক্রিয় ছিলেন।


উল্লেখযোগ্য অবদান:

  • আধুনিক হোমিওপ্যাথির জনক
  • “Minimum dose”, “Single remedy” ইত্যাদি নীতির প্রবর্তন
  • হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় পদ্ধতিগত গবেষণার সূচনা

.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *