১৭৮৪ সালের দিকে চিকিৎসা পেশা ছেড়ে দেবার পর হ্যানেমান জীবিকা নির্বাহ করতে ;অনুবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতে মনস্থ করেন ও উইলিয়াম কালনের মেটেরিয়া মেডিকা অনুবাদ করতে শুরু করেন। উইলিয়াম কালনের “এ ট্রিয়েট্রাইজ অন মেটেরিয়া মেডিকা” (অ ঞৎবধঃরংব ড়হ ঃযব গধঃবৎরধ গবফরপধ) বইটি অনুবাদ করার সময় হ্যানেমান লক্ষ্য করেন যে, পেরুভিয়ান বার্ক থেকে তৈরী ম্যালেরিয়া (সধষধৎরধ) জ্বরের জন্য “সিঙ্কোনা” (পরহপযড়হধ) নামক গাছের ছাল-স্থুল মাত্রায় গ্রহন করলে কম্প জ¦রের সৃষ্টি করে এবং লঘু মাত্রায় গ্রহন করলে কম্পজ¦র উপশম হয়। এ কথায় অনেকের দৃষ্টি পড়েছিল কিন্তু কেউই গুরুত্ব দেননি। হ্যানেমান একমাত্র ব্যক্তি বিশ্বাস করলেন এবং তিনি “সিঙ্কোনা” (পরহপযড়হধ) গাছের বাকল এর কার্যকারীতা নিজ দেহে পরীক্ষা করা শুরু করলেন। দেখলেন যে এটা ম্যালেরিয়ার মত তার দেহে কম্পজ্বর উৎপন্ন করছে এবং এটা যে কোন সুস্থ দেহেই করতে সক্ষম। এ বিষয়টি তাকে একটি মৌলিক নীতির দিকে ধাবিত করে “ যা একজন সুস্থ ব্যক্তির উপর প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন লক্ষণ সমষ্টি উৎপন্ন করতে পারে। একই রকম লক্ষন সমষ্টি সমৃদ্ধ অসুস্থ দেহে “সিঙ্কোনা” প্রয়োগ করলে সে অসুস্থ দেহ নিরাময় করতে সক্ষম” এটাই “লাইক কিউর লাইক” (ষরশব পঁৎবং ষরশব/ ঝরসরষরধ ঝরসরষরনঁং ঈঁৎবহঃবৎ ) । যা একটি নতুন ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তন করে এবং তিনি এর নাম দেন হোমিওপ্যাথি। ১৮০৭ সালে হুফেলান্ড (ঐঁভবষধহফ) জার্নাল এ প্রকাশিত ইন্ডিকেশনস অব দ্যা হোমিওপ্যাথিক ইমপ্লয়মেন্ট অব মেডিসিনেস ইন অর্ডিনারি প্র্যাকটিস (ওহফরপধঃরড়হং ড়ভ ঃযব ঐড়সবড়ঢ়ধঃযরপ ঊসঢ়ষড়ুসবহঃ ড়ভ গবফরপরহবং রহ ঙৎফরহধৎু চৎধপঃরপব) নামে এক প্রবন্ধে হ্যানেমান প্রথম “ হোমিওপ্যাথি” (ঐড়সবড়ঢ়ধঃযু) শব্দটি ব্যবহার করেন। ২৫০০ বছরের চিকিৎসা ইতিহাসে শুধুমাত্র আলব্রেচ ফন হেলারই বুঝতে পেরেছিলেন যে, এটাই প্রাকৃতিক পদ্ধতি, অত্যন্ত প্রয়োাজনীয় এবং সঠিক ঔষধ প্রয়োাগ পদ্ধতি। যা মানুষের সঠিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এবং হ্যানেমান তার পরবর্তী ব্যক্তি যিনি আবার এই প্রাকৃতিক পদ্ধতি চালু করেছিলেন। হ্যানেমান পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতি অ্যালোপ্যাথিকে ওল্ড স্কুল এর চিকিৎসা পদ্ধতি বলে অভিহিত করতেন। তিনি ১৭৯২ সালে টুরিংগেন জংগলে জর্জেন্থল এর পাগলা গারদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এখানে হ্যানেমান হ্যানোভার মন্ত্রী ক্লকেন ব্রিং এর বিষাদ উন্মাদ চিকিৎসা করেন। এ সময় তিনি রক্তমোক্ষণকারী চিকিৎসা ব্যবস্থা ও মানসিক রোগীর চিকিৎসার নির্যাতনমূলক পদ্ধতির তীব্র সমালোচনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *